অংশীদার হিসেবে নাবালক বিষয়টি এইচএসসি “ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা প্রথম পত্র” এর ৪র্থ অধ্যায় এর পাঠ।
অংশীদার হিসেবে নাবালক
১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৩০ (১) ধারা অনুযায়ী কোনো নাবালক অংশীদারি ব্যবসায়ের অংশীদার বা সদস্য হতে পারে না। তবে সব অংশীদারের সম্মতিক্রমে কোনো নাবালক অংশীদারি ব্যবসায়ের মুনাফার অংশ দেওয়া যায়। তবে সে ক্ষেত্রে নাবালককে একজন সীমাবদ্ধ অংশীদার হিসেবে গণ্য করা হবে। অর্থাৎ নাবালকের দায় তার মূলধন দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকবে।
অংশীদারি আইনের ৩০(১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নাবালক (যার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি) আইন অনুযায়ী অংশীদার হওয়ার যোগ্য নয়। কিন্তু সব অংশীদার সম্মত হলে কিছু সময়ের জন্য নাবালককে অংশীদারি ব্যবসায়ের সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। এরূপ গ্রহণ করা হলে নাবালক সীমাবদ্ধ অংশীদাররূপে গণ্য হয়।

নাবালক অংশীদার এর বৈশিষ্ট্য কি কি?
- বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের কম ব্যক্তিকে নাবালক বলা হয়।
- একজন নাবালক অংশীদার এর দায় তার রক্ষিত মূলধন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে।
- নাবালক কোনো তৃতীয় পক্ষের নিকট দায়ী থাকবে না।
- চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত হারে ব্যবসায় হতে মুনাফা পাবে।
- নাবালক অংশীদার প্রতিষ্ঠানের হিসাব দেখতে পারে এবং বিভিন্ন হিসাবের কপি গ্রহণ করতে পারে।
- নাবালক তার মুনাফা ও সম্পত্তির অংশ আদায়ের জন্য প্রতিনিধির মাধ্যমে অন্যান্য অংশীদারদের বিরুদ্ধে মামলাও করতে পারে।
- সাবালকত্ব প্রাপ্তির ১৮০ দিন বা ৬ মাসের মধ্যে নাবালক অংশীদার একজন পূর্ণ অংশীদার হতে পারে আর ইচ্ছা না থাকলে অংশীদারি সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে।
অংশীদার হিসেবে নাবালক:
আরও পড়ূনঃ