[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

একমালিকানা ব্যবসায় টিকে থাকার কারণ

একমালিকানা ব্যবসায় টিকে থাকার কারণ ক্লাসটি “এইচএসসি (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) – ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র [HSC (Class 11-12) – Business Organization and Management 1st Paper]” বিষয়ের, ৩য় অধ্যায়ের [Chapter 3] পাঠ। এই বিষয়ের প্রতিটি ক্লাস পেতে বিজনেস স্টাডিজ গুরুকুল এর প্লেষ্টিগুলো দেখুন।

 

একমালিকানা ব্যবসায় টিকে থাকার কারণ

বৃহদায়তন উৎপাদন ও লাভ অর্জন প্রভৃতি ক্ষেত্রে অধিক সুবিধা ভোগ করলেও ক্ষুদ্রায়তন একমালিকানা ব্যবসায় বিশেষ কতকগুলো ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করেছে। এ কারণে বৃহদায়তন ব্যবসায়ের পাশাপাশি একমালিকানা ব্যবসায় আজও দক্ষতার সাথে টিকে আছে। নিন্মে এ কারণগুলো ব্যাখ্যা করা হলো—

 

 

১। গঠন সুবিধা (Easy of formation): একমালিকানা ব্যবসায় গঠন করতে কোনোরূপ আইনের আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় না। যেকোনো লোক অল্প মূলধনে এরূপ ব্যবসায় গঠন করতে পারে । যেকোনো লোক অল্প মূলধনে এরূপ ব্যবসায় গঠন করতে পারে। কিন্তু বৃহদায়তন একমালিকানা প্রতিষ্ঠান গঠন করা কষ্টসাধ্য বলে অনেক লোক বৃহদায়তন ব্যবসায়ের পক্ষপাতি নয়। এ কারণেই বৃহদায়তন ব্যবসায়ের পাশাপাশি একমালিকানা ব্যবসায় টিকে আছে ।

২। বিশেষ ক্ষেত্রের সুবিধা (Suitability of special field): বৃহাদায়তন ও ক্ষুদ্রায়তন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কার্য ক্ষেত্রের প্রকৃতি ভিন্ন। কিছু ব্যবসা আছে যাতে বৃহদায়তন ব্যবসায় নিষ্প্রয়োজন যেমন-পান বিড়ির দোকান, মুদির দোকান, সেলুন প্রভৃতি ।

৩। স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ (Opportunity to act independently): মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। অনেক মানুষ আছে যারা অন্যের চাকরি করতে পছন্দ করে না । তারা স্বল্প পুঁজি নিয়ে স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে চায় । এরূপ মনোভাব একমালিকানা ব্যবসায় প্রতিফলিত হতে দেখা যায় ।

৪। অবস্থান (Location): বৃহদায়তন ব্যবসায় সাধাণত শহরের কেন্দ্রস্থলে স্থাপিত হয় । গ্রামের আনাচে- কানাচে বৃহদায়তন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্রায়তন একমালিকানা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করা বাঞ্ছনীয়।

 

google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

৫। আস্থা ও বিশ্বাস (Confidence and trust): এ ধরনের ব্যবসায়ের মালিক একজন মাত্র ব্যক্তি। তাই বৃহদায়তন ব্যবসায়ের মতো অন্যের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রয়োজন পড়ে না ।

৬। স্বল্প ব্যয় (Economy of cost ) : একমালিকানা ব্যবসায় সাধারণত মালিক নিজে বা পরিবারের লোকজন নিয়ে পরিচালনা করে থাকেন। ফলে ব্যবসায়ের সর্বস্তরে ব্যয় সংকোচন সম্ভব হয়। কিন্তু বৃহদায়তন ব্যবসায় এরূপ ব্যয় সংকোচন সম্ভব নয়। ফলে একমালিকানা- ব্যবসায় বৃহদায়তন ব্যবসায়ের পাশাপাশি সাফল্যজনকভাবে টিকে থাকে ।

৭। সীমিত উৎপাদন ও চাহিদাসম্পন্ন দ্রব্যের জন্য উপযোগী (Suitable for products having limited production and demand): যেসব পণ্যের উৎপাদন ও চাহিদা সীমিত এবং স্থানীয় গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ সেসব পণ্যের উৎপাদন ও বণ্টনের ক্ষেত্রে একমালিকানা ব্যবসায় অধিক উপযোগী।

৮। সহজ পরিচালনা (Easy administration): সীমিত আয়তন ও সীমিত পণ্যের ব্যবসায় হওয়ায় একমালিকানা -ব্যবসায় পরিচালনা করা সহজ হয়। কেননা বৃহদায়তন ব্যবসায়ের মতো পরিচালনাগত আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় না।

৯। স্বল্প ঝুঁকি (Limited risk): অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এ ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় বলে বৃহদায়তন ব্যবসায়ের তুলনায় ঝুঁকিও কম থাকে ।

১০। চাহিদার নমনীয়তা (Flexibility of demand): বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ক্রেতার চাহিদা ও রুচি দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে। এরূপ পরিবর্তিত রুচির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে বৃহদায়তন ব্যবসায় অপেক্ষা ক্ষুদ্রায়তন একমালিকানা ব্যবসায় অধিক উপযোগী ।

পরিশেষে বলা যায়, বৃহদায়তন উৎপাদন ও বণ্টনের যুগেও একমালিকানা ব্যবসায় বাণিজ্য কার্যকর ভুমিকা রাখছে। বৃহদায়তন ব্যবসায়ে প্রতিযোগী না হয়ে তার সহযোগী হিসেবে একমালিকানা -ব্যবসায়ের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

একমালিকানা ব্যবসায়

একমালিকানা ব্যবসায় টিকে থাকার কারণ এর বিষয়বস্তুঃ

https://youtu.be/WvtFjMXU8oE

 

 

আরও পড়ূনঃ

সংগঠন এর ভুমিকা

Leave a Comment