টোজ বিশ্লেষণ ও সোট বিশ্লেষণ নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “ব্যবস্থাপনা নীতিমালা” বিষয়ের ” পরিকল্পনা” বিষয়ক পাঠের অংশ। স্ট্রাটিজি হলো সাংগঠনিক লক্ষার্জনের জন্য বড় ধরনের কার্য পরিকল্পনা। এ ধরনের কর্ম পরিকল্পনা নিতে গেলে পারিপার্শ্বিক অবস্থা ভালভাবে বিচার-বিশ্লেষণের প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারকারী বিভিন্ন চলক (Variables)-এর সম্পর্ক বুঝতে বিভিন্ন ধরনের মেট্রিক্স এর সহযোগিতা নেয়া হয় ।
Table of Contents
টোজ বিশ্লেষণ ও সোট বিশ্লেষণ
TOWS ও SWOT মেট্রিক্স এর মধ্যে অন্যতম । এরূপ বিশ্লেষণে যে সকল উপাদান বিচার্য তার প্রথম অক্ষর সমন্বিত করেই এই বিশ্লেষণের নামকরণ করা হয়েছে । আদ্যক্ষর অনুযায়ী উপাদানসমূহ হলোঃ
TOWS বিশ্লেষণ
T = Threat (ভীতি বা হুমকি);
O = Opportunities (সুযোগ-সুবিধা);
W= Weakness (দুর্বলতা) ও
S = Strength (শক্তি)।
SWOT বিশ্লেষণ
S = Strength (শক্তি);
W= Weakness (দুর্বলতা );
O = Opportunities (সুযোগ-সুবিধা) ও
T = Threat (ভীতি বা হুমকি)।
TOWS বিশ্লেষণে প্রথম দু’টি উপাদান বাহ্যিক পরিবেশের এবং পরবর্তী দু’টি উপাদান অভ্যন্তরীণ পরিবেশের উপাদান গণ্য হয় । SWOT বিশ্লেষণের সাথে এর পার্থক্য হলো SWOT বিশ্লেষণে অভ্যন্তরীণ পরিবেশ অধিকতর গুরুত্ব পায় অন্যদিকে TOWS বিশ্লেষণে বাহ্যিক পরিবেশের উপদানগুলো অধিক গুরুত্ব পেয়ে থাকে । অধিকতর প্রতিযোগী পরিবেশে SWOT বিশ্লেষণ অপেক্ষা TOWS বিশ্লেষণ অধিক গুরুত্বপূর্ণ ।
Weihrich, Cannice Koontz, The TOWS Matrix is a conceptual framework for a systematic analysis that facilitates matching of the external threats and opportunities with the internal weakness and strength of the organization. “109 অর্থাৎ টো’জ মেট্রিক্স হলো বহ্যিক হুমকি ও সুযোগ-সুবিধার সাথে অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা ও শক্তির মিলকরণের সহায়তায় প্রণালীবদ্ধ বিশ্লেষণের একটা ধারণাগত মেট্রিক্স । স্ট্রাটিজি নির্ধারণে TOWS মেট্রিক্স ৪টা বিকল্প নির্দেশ করে । নিম্নে বিকল্পসমূহ আলোচিত হলোঃ
১. WT স্ট্রাটিজি (WT Strategy) :
দুর্বলতা (Weakness) ও হুমকি (Threat) এ দুটো উপাদান যত কম হয় ততই স্ট্রাটিজি নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়ন সহজ হয়। যে কারণে দু’টি উপাদানের সীমাবদ্ধতা কাটানোর জন্য এই স্ট্রাটিজিকে Mini-Mini (Minimise Minimise) স্ট্রাটিজি বলা হয় । এক্ষেত্রে কোনো যৌথ উদ্যোগে যাওয়া বা ব্যবসায় বন্ধ করে দেয়া ভালো স্ট্রাটিজি হতে পারে ।

২, WO স্ট্রাটিজি (WO Stategy) :
এই স্ট্রাটিজির মুখ্য বিষয় হলো দুর্বলতা (Weakness) কমানো (Mini) এবং সুযোগ-সুবিধা (Opportunity) বৃদ্ধি করা অর্থাৎ একে Mini-Maxi স্ট্রাটিজি বলা হয়। দুর্বলতা যেহেতু অভ্যন্তরীণ পরিবেশের অন্তর্ভুক্ত তাই এগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে । প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতা বৃদ্ধি, মূলধন সংস্থান ইত্যাদি নানানভাবেই এই দুর্বলতা কমানো যেতে পারে । আর এগুলো কমানো গেলে বাহ্যিক সুযোগ-সুবিধাগুলো সফলতার সাথে কাজে লাগানো সম্ভব ।
৩. ST স্ট্রাটিজি (ST Strategy) :
এই স্ট্রাটিজির মূলকথা হলো শক্তিকে আরো বাড়িয়ে (Maxi) হুমরি কমিয়ে (Mini) আনা । এজন্য একে Maxi-Mini স্ট্রাটিজিও বলা হয়ে থাকে । এক্ষেত্রে কোম্পানি এর প্রযুক্তিগত আর্থিক, ব্যবস্থাপনা ও বাজারজাতকরণ সামর্থ্যকে আরো বৃদ্ধি করে প্রতিযোগিতার হুমকি মোকাবেলা করতে । পারে ।
SO স্ট্রাটিজি (SO Strategy) :
এ ধরনের অবস্থায় কোম্পানি সবচেয়ে ভালো অবস্থায় থাকে বিধায় শক্তিকে বাড়িয়ে (Maxi) সুযোগ-সুবিধাকে আরো কাজে লাগানো (Maxi) এর চেষ্টা করা হয়। এক্ষেত্রে যদি অভ্যন্তরীণ কোনো দুর্বল দিক থেকে থাকে তবে তা দূর করার এবং কোনো ধরনের হুমকি থাকলে সুযোগ, সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে তা মোকাবেলা করার চেষ্টা করা হয় । স্ট্রাটিজি নির্ধারণে TOWS মেট্রিক্স কীভাবে সহায়তা করতে পারে তা নিম্নের রেখাচিত্রে তুলে ধরা হলো :
আরও দেখুনঃ