আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় নেতৃত্বের প্রকারভেদ বা ধরন।
Table of Contents
নেতৃত্বের প্রকারভেদ বা ধরন
দলকে পরিচালনা করার জন্য কাজে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে নেতা যে আচরণ করে তার পদ্ধতিকে নেতৃত্বের ধরন বলে। নেতৃত্বের ধরনকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-
(ক) প্রেষণাভিত্তিক নেতৃত্ব :
এ ধরনের নেতৃত্বে কর্মীদেরকে প্রেষণাদানের মাধ্যমে কার্যে প্রভাবিত করা হয়। কর্মীদেরকে নেতা দুই ধরনের প্রেষণার মাধ্যমে কাজে প্ররোচিত করতে পারে। যেমন-
১। ইতিবাচক নেতৃত্ব ঃ
যখন নেতা তার কর্মীদেরকে পুরস্কার প্রদানের দ্বারা কাজে অনুপ্রাণিত করে এবং কাজ আদায় করে নেয়, তখন তাকে ইতিবাচক নেতৃত্ব বলে ।
২। নেতিবাচক নেতৃত্ব ঃ
কর্মীদেরকে কাজে প্ররোচিত করার জন্য নেতা যখন বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি, শাস্তি ইত্যাদি প্রদানের ব্যবস্থা করে, তখন তাকে নেতিবাচক নেতৃত্ব বলা হয় ।
(খ) ক্ষমতাভিত্তিক নেতৃত্ব :
যে ধরনের নেতৃত্বে নেতা মূলত তার প্রাপ্ত ক্ষমতার ব্যবহার করে, তাকে নেতৃত্বের ক্ষমতাভিত্তিক ধরন বলা হয়। এটাকে ৪ শ্রেণিতে ভাগ করা যায়, যথা-
১। স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব ঃ
যখন নেতা সকল ক্ষমতা তার নিজের হাতে রেখে কাজ সম্পর্কে নিজের ক্ষমতা ব্যক্ত করেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজেই মুখ্য ভূমিকা রাখেন, তখন তাকে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব বলা হয়।
২। গণতান্ত্রিক বা অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব ঃ
যে ধরনের নেতৃত্বের নেতা তার ক্ষমতা কোন কোন ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণ করে কর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তাকে অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব বলা হয় ।

৩। পিতৃসুলভ নেতৃত্ব ঃ
সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও নেতা যখন অধঃস্তন কর্মীদেরকে পিতার ন্যায় স্নেহ ও শাসনে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করেন, তখন তাকে পিতৃসুলভ নেতৃত্ব বলা হয় ।
৪। লাগামহীন নেতৃত্ব ঃ
নেতা যখন স্বাধীনভাবে কর্মীদেরকে কাজ করতে দেয় এবং কর্মীর কাজে কোন প্রকার ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব আরোপ করে না, তখন তাকে লাগামহীন নেতৃত্ব বলে।
(গ) মৌলভিত্তিক নেতৃত্ব ঃ
কর্মী ও কর্মকে কেন্দ্র করে নেতৃত্বের দুইটি প্রকারভেদ রয়েছে, যেমন- ১। কর্মকেন্দ্রিক নেতৃত্ব ঃ এই নেতৃত্বের ধরনকে আবার কার্যকাঠামো নেতৃত্বও বলা হয়। এখানে কর্মীদেরকে কাজ অনুযায়ী পুরস্কার বা স্বীকৃতি দেয়া হয়। এখানে নেতা কর্মীদের মানবীয় দিকটিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে এবং সবসময় কর্মীকে তার কার্যফল দ্বারা বিবেচনা করে।
২। কর্মীকেন্দ্রিক নেতৃত্ব ঃ
এ ধরনের নেতৃত্ব কর্মীদেরকে গুরুত্ব দেয়া হয় । এটাকে সহানুভূতিপ্রবণ নেতৃত্ব বলা হয়
আরও পড়ূনঃ