আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় পরিদর্শকের ক্ষমতা ও কর্তব্য। এই পাঠটি “ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানেজমেন্টে” বিষয়ের “শ্রম ও শিল্প আইন” বিভাগের একটি পাঠ।
পরিদর্শকের ক্ষমতা ও কর্তব্য
১৯৬৫ সালের কারখানা আইনের ১০ম ধারায় কারখানা পরিদর্শকের ক্ষমতা সম্পর্কে বিধান প্রদত্ত হয়েছে। ১০ (১) ধারায় বলা হয়েছে যে, অত্র আইনের উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে একজন পরিদর্শক তার কর্তৃত্বাধীন এলাকায় নিম্নোক্ত ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারবে।
১। বাংলাদেশ সরকারের বা যে কোন পৌরসভার অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাজে নিযুক্ত যে কোন কর্মচারীর সহায়তায় কারখানা হিসেবে ব্যবহৃত বা ব্যবহৃত হতে পারে এমন যে কোন স্থানে প্রবেশ, পরিদর্শন এবং পরীক্ষা করতে পারবে।
২। কারখানা সংক্রান্ত যে কোন রেজিস্টার, সার্টিফিকেট, বিজ্ঞপ্তি ও দলিলপত্রাদি তলব, পরীক্ষা এবং তার যে কোন
অংশের নকল নিতে পারবে।

৩। কোন কারখানা বা কারখানায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অত্র আইনে বা অন্যান্য প্রচলিত আইনে যে সকল বিধান রাখা হয়েছে, তা ঠিকমতো প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা তা নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও তদন্ত করতে পারবে।
৪। কারখানার প্রকৃত দখলকারী সম্পর্কে জানার জন্য, সে পরিদর্শনকালে কারখানায় অবস্থানরত যে কোন ব্যক্তিকে
জিজ্ঞাসা ও বিবৃতি নিতে পারবে।
৫। অস্ত্র আইন সংশ্লিষ্ট যে কোন বিষয়ে কারখানার প্রত্যেক ব্যক্তিকে অথবা যে কেউ কারখানায় অন্তত দুই মাস কাজ করেছে, এমন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, নিজের অপরাধ প্রকাশ পায় এমন কোন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব বা সাক্ষ্য দিতে কাউকে বাধ্য করা যাবে না।
৬। কারখানা বিষয়ে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাদের প্রত্যেকের লিপিবন্ধ প্রশ্নোত্তরের প্রত্যয়ন হিসেবে উত্তরকারীর স্বাক্ষর নিতে পারবে।
৭। কারখানা আইনের ১০(৩) ধারায় বলা হয়েছে যে, অত্র আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের জন্য পরিদর্শক নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী প্রয়োজন মনে করলে যে কোন কারখানায় যে কোন দলিলপত্র, রেজিস্টার বা অন্য কোন কাগজপত্রাদি আটকাতে পারে।
পরিদর্শকের কর্তব্য (Duties of inspector) :
কারখানা আইনসহ শ্রম ও শিল্প আইনের বিধানসমূহ যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে কিনা তা দেখা পরিদর্শকের প্রধান কর্তব্য। এ উদ্দেশ্যে পর্যায়ক্রমে কারখানাগুলো পরিদর্শন করা এবং আইন ভঙ্গকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরূদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা পরিদর্শকের অন্যতম কর্তব্য।
আরও পড়ূনঃ