পরিস্থিতি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “ব্যবস্থাপনা নীতিমালা” বিষয়ের ” পরিকল্পনা” বিষয়ক পাঠের অংশ। পরিকল্পনা প্রণয়নে যে আঙ্গিনা বা পটভূমি নির্ণীত হয় তা সবসময় যথার্থ হবে এটা প্রত্যাশা করা যায় না। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতি কী হতে পারে তাও পূর্বেই অনুমান করে সেজন্য পৃথক পরিকল্পনা তৈরি করে রাখলে বা পরিবর্তিত অবস্থা চিন্তায় নতুন পরিকল্পনা গৃহীত হলে তাকে পরিস্থিতিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা বলে ।
পরিস্থিতি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা
Bartol ও Martin লেখকদ্বয় বলেছেন, “Contingency planning is the development alternative plans for use in the events that environmental conditions evolve differently than anticipated, rendering original plans unwise or unfeasible.” অর্থাৎ প্রত্যাশিত পরিবেশগত অবস্থার সৃষ্টি না হয়ে তা যখন ভিন্ন হয় এবং গৃহীত পরিকল্পনার ব্যবহার অবাস্তব ও অবিবেচনাপ্রসূত হয়ে দাঁড়ায় তখন যে বিকল্প পরিকল্পনার উন্নয়ন সাধন করা হয় তাকেই পরিস্থিতিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা বলে ।
তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ ব্যবসায় জগতে পরিবেশ-পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হয় । তাই গৃহীত পরিকল্পনা এই পরিবর্তনের সাথে সবসময়ই সঙ্গতি বিধান করতে পারে না । তাই সেমতাবস্থায় গৃহীত পরিকল্পনা অকার্যকর হয়ে পড়ে। এরূপ অবস্থায় পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে নতুন পরিকল্পনা দ্রুত গ্রহণ ও কার্যকর করা না গেলে সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে । তাই পরিস্থিতিকেন্দ্রিক পরিকল্পনা সেক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। নিম্নে এ ধরনের পরিকল্পনার গুরুত্ব সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:

১. পূর্বে প্রণীত পরিকল্পনার অকার্যকারিতা মোকাবেলা;
২. পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত সঙ্গতিবিধান;
৩. প্রতিষ্ঠানের শক্তি ও সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার;
৪. সম্পদের অপচয় ও অপব্যয় হ্রাস এবং
৫. প্রতিযোগিতার সামর্থ্য বৃদ্ধি ।
বর্তমানে বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানসমূহ যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে তাতে অনিশ্চয়তার মাত্রা বেশি থাকে । সেখানে এমন কিছু ক্ষেত্র থাকে যেখানে দ্রুতই পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়। তাই সবকিছু মিলিয়ে বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানসমূহে পরিস্থিতিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনার ব্যবহার অনেক বেশি হয়ে থাকে ।
আরও দেখুনঃ