সংগঠন, প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার মধ্যে পার্থক্য নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “ব্যবস্থাপনা নীতিমালা” বিষয়ের ” ব্যবস্থাপনার পরিচিতি” বিষয়ক পাঠের অংশ। সংগঠন, ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন একে অন্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কযুক্ত। সংগঠন না থাকলে যেমনি ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনের অস্তিত্ব চিন্তা করা যায় না তেমনি ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসন ছাড়া সংগঠন কখনই অস্তিত্ব লাভ করে না । তাই অনেকে এদের সবাইকে সমার্থক বলে গণ্য করেন। পরিভাষার দিক বিবেচনা করলে সংগঠন ও ব্যবস্থাপনার পৃথক অস্তিত্ব রয়েছে । প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনাকে ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে পৃথকভাবে নির্দিষ্ট করা হলে এ উভয়ের মধ্যেও পৃথক রূপ প্রতিভাত হয় ।
সংগঠন, প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার মধ্যে পার্থক্য
সংগঠন, প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা সাধারণ দৃষ্টিতে একই মনে করা হয় । কারণ একজন প্রশাসক যেমনি ব্যবস্থাপক বা সংগঠক বিবেচিত হতে পারেন তেমনি ব্যবস্থাপনার স্তর বিবেচনায় সবাই ব্যবস্থাপক হিসেবে বিবেচিত হন । বিভিন্ন বিষয়ে মিল থাকলেও এদের মধ্যে বিভিন্ন পার্থক্য বিদ্যমান। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো:
বর্তমান বৃহদায়তন কর্মপ্রচেষ্টার যুগে সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানই বৃহদায়তন রূপ পরিগ্রহ করেছে। বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে গিয়ে এর কাজকে বিভিন্ন বিভাগ ও উপবিভাগে ভাগ করার প্রয়োজন পড়ছে । প্রতিটা বিভাগ ও উপবিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছে প্রচুরসংখ্যক জনশক্তি ও অন্যান্য উপায়-উপকরণ । তাই দক্ষ ব্যবস্থাপনা যে কোনো প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আজ এক অপরিহার্য শর্ত। সারা বিশ্বজুড়েই ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রাতিষ্ঠানিক ও জাতীয় উন্নয়নে আজ সবচেয়ে গুরুত্ববহ। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক পশ্চাদপদতার পিছনে পরিসম্পদের অভাব নয় ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাই যে মুখ্য তা আজ আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।

সংঘবদ্ধ মানব জীবনে ব্যবস্থাপনা এক অতি অপরিহার্য বিষয়। মানব সভ্যতার শুরু হতেই ব্যবস্থাপনার অস্তিত্ব লক্ষ করা যায় । কয়েকজন ব্যক্তি যখন কোনো সাধারণ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য একত্রিত হয় তখন তাদের সঠিকভাবে পরিচালনার প্রয়োজন পড়ে। সেখানে যদি কেউ পরিচালক না থাকে, যদি কেউ নেতৃত্ব না দেয় তবে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়াই স্বাভাবিক ।
আরও দেখুনঃ