বাণিজ্যের প্রকারভেদ ক্লাসটি “এইচএসসি (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) – ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র [HSC (Class 11-12) – Business Organization and Management 1st Paper]” বিষয়ের, ১.৪ অধ্যায়ের [Chapter 1.4] পাঠ।
বাণিজ্যের প্রকারভেদ
ব্যবসা – বাণিজ্য বলতে কি বুঝায়?
পণ্যদ্রব্য বণ্টন ও বিনিময় সংক্রান্ত কার্যাবলীই হল বাণিজ্য। পণ্য দ্রব্য বণ্টন ও বিনিময়ের ক্ষেত্রে কতগুলো বাধা বা অসুবিধা দেখা যায়। ঐ সকল বাধা বা অসুবিধা অতিক্রমের জন্য গৃহীত কার্যাবলিই বাণিজ্যের লক্ষ্য। এ প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, দ্রব্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তি, স্থান, ঝুঁকি, সময় এবং আর্থিক বাধাসমূহ দূরীকরণের জন্য পরিচালিত কার্যাবলীর সমষ্টিই হলো বাণিজ্য।
বাণিজ্যের ইতিহাস :
মানব ইতিহাসের শুরু থেকেই বাণিজ্যের বিকাশ হয় এবং প্রতœতাত্তি¡ক অনুসন্ধান ও বিশে ষণ থেকে এর সত্যতা – প্রমাণিত হয়। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে প্রাচ্যের সভ্যতা সমূহে নিয়মিত বাণিজ্য হতো। বর্তমান সভ্যতার বিকাশের পর ব্যবসা বাণিজ্যে ব্যাপক প্রসার লাভ করে।
পণ্যদ্রব্য বা সেবাকর্ম বিনিময় ও বণ্টন সংক্রান্ত কাজকে বাণিজ্য বলে। অর্থাৎ শিল্পের উৎপাদিত পণ্য প্রকৃত গ্রাহকদের নিকট পৌঁছানোর জন্য সম্পাদিত সকল কার্যক্রমকে বাণিজ্য বলে।
বাণিজ্যের প্রকারভেদ:
- ট্রেড বা পণ্য বিনিময়
- ট্রেড বা পণ্য বিনিময় সহায়ক কার্যাবলি
ট্রেড বা পণ্য বিনিময়কে আবার দুই ভাগে ভাগ করে:
- অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য
১. পাইকারি ব্যবসায়
২. খুচরা ব্যবসায় - বৈদেশিক বাণিজ্য
১. আমদানি
২. রপ্তানি
৩. পুনঃরপ্তানি
ট্রেড বা পণ্য বিনিময় সহায়ক কার্যাবলি আবার ৫ প্রকার:
- ব্যাংক
- বীমা
- পরিবহণ
- গুদামজাতকরণ
- বাজারজাতকরণ প্রসার বা বিজ্ঞাপন
ট্রেড বা পণ্য বিনিময়:
মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পণ্যদ্রব্য ক্রয় বিক্রয় কার্যকে পণ্য বিনিময় বলে। ট্রেড বা পণ্য বিনিময়ের মাধ্যমে উৎপাদনকারী ও ভোগকারীর মধ্যে ব্যক্তিগত বা মালিকানাগত বাধা দূর করা যায়।
১. অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য: পণ্য দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় যখন একটি দেশের ভৌগলিক সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তখন তাকে অভ্যন্তরীন বাণিজ্য বলে।
২. বৈদেশিক বাণিজ্য: যখন এক দেশের সাথে অন্য দেশের মধ্যে পণ্য বা সেবা সামগ্রী বিনিময় করা হয় তখন তাকে বৈদেশিক বাণিজ্য বলে।
ট্রেড বা পণ্য বিনিময় সহায়ক কার্যাবলি:
বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসায়কে বিভিন্ন ধরনের বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। এগুলি দূর করার জন্য ট্রেড বা পণ্য বিনিময়ের সহায়ক কাজগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন: অর্থগত বাধা দূর করে ব্যাংক, ঝুঁকিগত বাধা দূর করে বিমা, স্থানগত বাধা দূর করে পরিবহন, সময় বা কালগত বাধা দূর করে গুদামজাতকরণ, জ্ঞানগত বাধা দূর করে বিজ্ঞাপন।
বাণিজ্যের প্রকারভেদ এর বিষয়বস্তুঃ
আরও পড়ূনঃ