আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ব্যবস্থাপনার কর্মী ব্যবস্থাপনার গুরুত।
Table of Contents
ব্যবস্থাপনার কর্মী ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব
যেখানে মানুষ পারিশ্রমিকের জন্য কাজ করছে অথবা যেখানে অন্যের দ্বারা কাজ করিয়ে কোন লক্ষ্য অর্জন করতে হবে সেখানেই কর্মী ব্যবস্থাপনার সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে উত্তম কর্মী ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব আলোচনা করা হল—
১। শিল্পশান্তি ঃ
উত্তম কর্মী ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক শিল্প বিক্ষোভ, ধর্মঘট, দ্বন্দ্ব, বিশৃঙ্খলা ও আইনগত হস্তক্ষেপ হ্রাস করে।
ফলে প্রতিষ্ঠানে শিল্পশান্তি বিরাজ করে । শিল্পশান্তি নিরবিচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন ।
২। শিল্প উন্নয়ন ঃ
শিল্প উন্নয়নের জন্য শিল্পশাস্তি অপরিহার্য। এর মাধ্যমেও ব্যবস্থাপকদের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করে, সুষ্ঠু ইউনিয়নিজমের পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং উভয় পক্ষ উন্নয়ন পদ্ধতিতে সহযোগী হিসেবে কাজ করে ।
৩। উৎপাদন বৃদ্ধি ঃ
উত্তম, কর্মীসম্পর্ক বিঘ্নমুক্ত উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ক্রমবর্ধমান উৎপাদন, অপচয় হ্রাস ও মিতব্যয়িতা অর্জনে শিল্পসম্পর্ক বিশেষভাবে সহায়তা করে।
৪। সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ রক্ষা :
সুষ্ঠু কর্মীসম্পর্ক, শ্রমিক ও ব্যবস্থাপকদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে। উভয়েই শ্রম বিরোধের নিম্নহার রক্ষায় সচেষ্ট থাকে । ৫। কর্মীদের কর্মসন্তুষ্টি বৃদ্ধি : উত্তম কর্মী ব্যবস্থাপনা ও শ্রমিকের মধ্যে মতবিরোধ হ্রাস করে বিদ্রোহের পরিবর্তে বিশ্বস্ততা আনয়ন করে। এর ফলে আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক উন্নত হয় এবং কর্মসন্তুষ্টি বৃদ্ধি পায় ।

৬। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঃ
শিল্প সামাজিক শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় মূল্যবান ভূমিকা রাখে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত।
৭। ভারসাম্য রক্ষা :
শিল্পসম্পর্ক শ্রমিক ও ব্যবস্থাপকদেরকে যৌথ দরকষাকষি প্রক্রিয়ায় উৎসাহিত করে। এর মাধ্যমে উভয়ের ক্ষমতায় ভারসাম্য রক্ষা হয় ।
৮। সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি :
শিল্পসম্পর্ক শ্রমিক-শ্রমিক, শ্রমিক ব্যবস্থাপনা, শ্রমিক সংঘ এবং ব্যবস্থাপনা ও সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা করে। এর ফলে শিল্প সংঘাত হ্রাস পায়।
৯। প্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্ব ঃ
উন্নত কর্মীসম্পর্ক শিল্পে শান্তি বজায় রাখে। ফলে কর্মীদের অনুপস্থিতি ও আগমন-নির্গমনের হার হ্রাস পায়। এর ফলে উৎপাদনের পরিমাণ ও মান উন্নত হয়। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সহজ হয়।
১০। মুনাফা ও মজুরি বৃদ্ধির সুযোগ :
উত্তম কর্মীসম্পর্ক উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। উৎপাদন বাড়লে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে শ্রমিকদের মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পায় ৷
আরও পড়ূনঃ