আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় কারখানায় মহিলা শ্রমিকদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিধানসমূহ।
Table of Contents
কারখানায় মহিলা শ্রমিকদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিধানসমূহ
মহিলা শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিধিনিষেধগুলো অনুসরণ করতে হবে
১। দৈনিক কার্যকাল ঃ
কোন ক্ষেত্রেই মহিলা শ্রমিককে দৈনিক ৯ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো যাবে না। ৫৩ ধারায় প্রদত্ত ব্যতিক্রমগুলো এদের প্রযোজ্য হবে না।
২। নৈশ শিফট :
নৈশ শিফটে মহিলাদের কাজ করানো যাবে না। সকাল ৭টা হতে রাত ৮ টার মধ্যে তাদের কাজের সময় নির্ধারণ করতে হবে। তবে প্রয়োজনবোধে বিশেষ শ্রেণির কারখানার ক্ষেত্রে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে এই সময়সীমা সকাল ৫টা হতে রাত ৮.৩০ টা পর্যন্ত করা যায়। কাঁচামালের ক্ষতি বা পচন রোধের জন্য মহিলা শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা ব্যতিক্রম করার প্রয়োজন হলে, সরকার সে মর্মে বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারেন। তবে এটি সাময়িক ব্যবস্থা এবং অনধিক তিন বছর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
৩। চলমান যন্ত্রে কাজ :
চলমান যন্ত্রে তেল দেয়া, বেল্ট লাগানো বা অন্যান্য কাজের প্রয়োজন হলে তা শুধু বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুরুষ শ্রমিক দ্বারা করাতে হবে। মহিলা বা শিশুশ্রমিককে এ কাজে নিয়োগ করা যাবে না। [২৪ ধারা
৪। তুলাধুনা যন্ত্রে কাজ ঃ
তুলাধুনার যন্ত্র থাকলে সেখানে সাধারণত মহিলা শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে না। তবে ঐ যন্ত্রের মুখ ও বহির্গমনের পথের মধ্যে যথেষ্ট উঁচু দেয়াল থাকলে সেখানে মহিলাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। [২৯ ধারা।
৫। ভারী মাল বহন :
শ্রমিকদের দৈহিক ক্ষতি হতে পারে এরূপ ভারী মাল বহন করার জন্য মহিলা শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে না। একজন মহিলা শ্রমিক কি পরিমাণ ভারী মাল বহন করতে পারবে তা সরকার নির্ধারণ করে দিবে। [৩৬ ধারা।
৬। পায়খানা, প্রস্রাবখানা ও ধৌতকরণের সুবিধা :
মহিলা শ্রমিকদের জন্য ভালভাবে ঘেরা স্বতন্ত্র পায়খানা, প্রস্রাবখানা ও ধৌতকরণের ব্যবস্থা রাখতে হবে। [৪৩ ধারা]
৭। মহিলা শ্রমিকের সন্তানের জন্য কক্ষ :
৫০ জনের বেশি মহিলা শ্রমিক থাকলে তাদের ৬ বছরের অনধিক বয়স্ক সন্তানের জন্য একটি কক্ষ রাখতে হবে এবং সেখানে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। মহিলা শ্রমিকগণ যেন তাদের এ সকল সন্তানকে সময়মতো খাওয়াতে পারে তার সুযোগ দিতে হবে। (৪৭ ধারা)
আরও পড়ূনঃ