ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনা ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “ব্যবস্থাপনা নীতিমালা” বিষয়ের ” ব্যবস্থাপনার পরিচিতি” বিষয়ক পাঠের অংশ। পরিকল্পনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ । একটা নির্দিষ্ট সময়ে পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া শুরু হয় আর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তার সমাপ্তি ঘটে । পরিকল্পনা হলো ভবিষ্যত কার্যক্রমের পূর্ব নির্ধারিত নক্সা বা চিত্র। এটি কার্যক্ষেত্রে আদর্শ মান বিবেচিত হয়ে থাকে।
ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনা ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সম্পর্ক
নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় এরূপ আদর্শ মানের আলোকে কার্যফল পরিমাপ করে বিচ্যুতি নিরূপণ ও সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে । তাই পরিকল্পনা হলো নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি (Planning is the base of controlling)। পরিকল্পনা যেমনি নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি তেমনি নিয়ন্ত্রণও পরবর্তী পরিকল্পনার ভিত্তি বিবেচিত হয়ে থাকে ।
কয়েকজন ব্যক্তি যখন কোনো সাধারণ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য একত্রিত হয় তখন তাদের সঠিকভাবে পরিচালনার প্রয়োজন পড়ে। সেখানে যদি কেউ পরিচালক না থাকে, যদি কেউ নেতৃত্ব না দেয় তবে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়াই স্বাভাবিক । তাই একদল মানুষকে তাদের লক্ষ্যপানে এগিয়ে নেয়ার কার্যকর শক্তিই হলো। ব্যবস্থাপনা । আর যে বা যারা এ দায়িত্ব পালন করেন তাদেরকেই অভিহিত করা হয় ব্যবস্থাপক, প্রশাসক, নির্বাহী, পরিচালক ইত্যাদি বিভিন্ন নামে ।

১. কাজ পরিকল্পনামাফিক সম্পাদিত হয়েছে এবং বিচ্যুতি ঘটেনি। তাই সংশোধনমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই, অথবা
২. কাজ পরিকল্পনামাফিক সম্পাদিত হয়নি এবং বিচ্যুতি ঘটেছে। ফলে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে হবে।
প্রথম অবস্থা ব্যবস্থাপনাকে আশাবাদী করে । ফলে পরবর্তীতে কিছুটা আগবাড়িয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ স হয় । অন্যদিকে দ্বিতীয় অবস্থায় বিচ্যুতির কারণ নির্ণয় করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা কী হতে পারে তা নিরূপণ কর হয় এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়ে থাকে । যাতে অনুরূপ বিচ্যুতি ভবিষ্যতে আর না ঘটে তাই নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া পরবর্তী পরিকল্পনার নির্দেশক, ভিত্তি বা আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে।
আরও দেখুনঃ